১৯৯২ সনে সুন্দরবন ৫৬০তম রামসার সাইট হিসেবে ঘোষিত হয়েছে;
২০০৯ সনে সুন্দরবনের ব্যবস্থাপনায় বননির্ভর স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে সহব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। সহব্যবস্থাপনা কমিটি বন বিভাগের সাথে সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে বিকল্প কর্মসংস্থান প্রদান পূর্বক বনের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সাল থেকে টহল জোরদার করার লক্ষ্যে কম্যুউনিটি প্যাট্রল গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। ফলে অবৈধভাবে গাছ কর্তনের পরিমাণ সাম্প্রতিককালে ব্যাপকভাবে কমে গেছে;
সহব্যবস্থাপনা ও বননির্ভর জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুন্দরবনের অর্জিত রাজস্বের ৫০% লভ্যাংশ বন্টন পদ্ধতির আইনগত কাঠামোর জন্য ‘রক্ষিত এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে;
২০১৪-১৫ সনে সুন্দরবনের বাঘ শুমারি সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে ১০৬টি পাওয়া গেছে;
সুন্দরবনে প্রচলিত টহল কার্যক্রমের অতিরিক্ত স্মার্ট প্যাট্রোলিং (SMART) কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আধুনিক সরঞ্জাম ও অস্ত্রসজ্জিত স্মার্ট প্যাট্রোলিং টিম এবং টহল সংক্রান্ত স্মার্ট ডাটাবেইজ গঠন করা হয়েছে। স্মার্ট প্যাট্রোলিং-এর মাধ্যমে সাম্প্রতিককালে বন-অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে, যা বড় বড় অপরাধীদের জন্য সতর্কবার্তা পৌঁছাতে সক্ষম।
সুন্দরবনের অধিকতর সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের অভ্যন্তরস্থ ০৩ (তিন)-টি অভয়ারণ্যে রক্ষিত এলাকার পরিমাণ ১৩৯৬৯৯.৪৯৬ হেক্টর থেকে বাড়িয়ে ২০১৭ সনে ৩২৭৯৫০.০৯ হেক্টরে উন্নীত করা হয়েছে। ডলফিন সংরক্ষণের জন্য চাঁদপাই, দুধমুখী ও ঢাংমারীতে ৩-টি অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে;
ইকোট্যুরিজম উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইকোট্যুরিজমের উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে।